রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ধলপুরে ডিএসসিসি’র পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের কাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। এ স্থানেই ঢাকা দক্ষিণের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বাসা নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকায় জনগণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। একটু ভূমিকম্প কিংবা বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হলে এগুলো ভেঙে পড়বে। আমরা ডিএসসিসিতে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে রাজউক ও সিটি করপোরেশনের ৯টি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। আর প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচিত মেয়র হিসেবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বেশ কিছুদিন আগে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ‘বনলতা ও নিউ সুপার মাকেট’সহ তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা ভবনগুলো ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেননি।
তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণ না করা হলে সিটি করপোরেশন ভেঙে দেবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে কতদিন সময় দেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঝুঁকির ধরন দেখে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
শতবছরের ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার বাড়িগুলো ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, লক্ষ্মীবাজার, শাখারিবাজার, তাঁতীবাজার এবং বংশালসহ পুরান ঢাকার বাড়িগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলো জনগণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনগুলোতে বসবাস তো দূরের কথা এর আশপাশ দিয়ে আসা-যাওয়া সম্পূর্ণ অনিরাপদ ও ঝুঁকির।
তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিধি-নিষেধের কারণে স্থাপনাগুলো ভাঙা যাচ্ছে না। তাই ভবনগুলো অপসারণ করতে সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭/আপডেট ১৭২৬ ঘণ্টা
এমএফআই/ওএইচ/আইএ