নিহত ফাহিম মুন্সিগঞ্জের কাগজীপাড়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে। তার দুলাভাই রাশেদ শিকদার কারখানার মালিক।
কারখানার মালিক রাশেদ শিকদারের অভিযোগ, রোববার (১৯ মার্চ) সকালে তার শ্যালক ফাহিমকে পিটিয়ে আহত করেন কারখানার শ্রমিক সোহাগ (২০) ও তার ভাতিজা ইউসুফ। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তির পর বেলা সাড়ে ১১টায় মারা যান ফাহিম।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ফাহিম রূপাইয়া হোসিয়ারির মার্কেটিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে কারখানায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ফাইমের সঙ্গে ছুটির পর ঘুমান কারখানার সোহাগ ও ইউসুফ।
রোববার সকালে কারখানায় এসে তালা বন্ধ দেখতে পান তারা। পরে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ফাহিম। তাকে উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কারখানার কর্মচারী সোহাগ ও তার ভাতিজা ইউসুফের সঙ্গে বিরোধ ছিল ফাহিমের। এর জেরে শক্ত কিছু দিয়ে মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন চাচা-ভাতিজা। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফাহিম মারা যান।
ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে চাচা-ভাতিজা মিলে ফাহিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান এসআই মাজেদ।
তবে ফাহিমের সঙ্গে কারখানার কর্মচারী সোহাগ ও ইউসুফের বিরোধ ছিল কি-না, তা জানাতে পারেননি মালিক রাশেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
জিপি/এএসআর