রোববার (১৯ র্মাচ) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শুরুতে বেলা ১১টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে জাতির পিতার ওপর একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিশুরা।
এরপর দুপুর ২টায় শুরু হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশিত হয়। এতে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনে জাতির পিতার ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম -এর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, যে দেশের সঙ্গে নাড়ির বন্ধন সে দেশের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। আমাদের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ইতিহাসকে তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
এর আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে জাতির পিতাকে বছরের প্রতিটি দিনই স্মরণ করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি বলেন, মার্চ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মমাস। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ ভালোবাসার স্বীকৃতিস্বরূপ তার জন্মদিনটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু দিবস বলে ঘোষণা করেছেন।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গান, বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে কবিতা আবৃতি ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাগরিক, মিডিয়া প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাঙালিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
আরআর/এমজেএফ