এই বাড়ি দেখতে গিয়েই আঁতকে উঠতে হলো। টিনশেড বাড়িটার প্রত্যেক সারির দেয়ালগুলোতে ফাটল।
মাঝেমধ্যেই দেয়াল চাপায় দুর্ঘটনার খবর মেলে। এ ধরনের খবর শুনেও এই আবাসনে থাকেন মতিঝিলের আরামবাগের নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী সাগর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের রুমে থাকি ৩ জন। অন্য বাসার তুলনায় এখানকার ভাড়া অনেক অল্প। ৩৯০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। প্রতিজন ১৩০০ টাকা করে। এই কম ভাড়ায় অন্য কোথাও বাসা পাওয়া যাবে না বলে ঝুঁকি নিয়েই থাকতে হচ্ছে এখানে। ঝুঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। আপাতত কিছু করার নেই। তবে যত তাড়াতাড়ি পারি এখান থেকে কেটে পড়তে হবে।
এখানকার আরেক বাসিন্দা চাকরিজীবী রিপন বলেন, ব্যাচেলরদের এমনিতেই বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন। এরওপর স্বল্প ভাড়া তো কল্পনা করাও দুরূহ। সেজন্য বাধ্য হয়েই এমন অনিরাপদ বাসায় থাকতে হচ্ছে।
এই বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে রয়েছেন মিলন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বাসিন্দাদের কেউ বাসা ছাড়ছেন না বলে কাজ ধরা যাচ্ছে না।
মিলন নিজেই ভয়ে ভয়ে থাকেন জানিয়ে বলেন, এই বাসায় থাকি, সত্যি বলতে থাকতে থাকতে সইয়া গেছে। আমি এখনও বিয়ে করি নাই। বাবা-মা গ্রামে থাকেন। আমিই শুধু ঢাকায় থাকি। মাঝে-মাঝে আমারো ভয় করে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বাড়ি ভেঙে ফেলবো।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিষয়টি আগে দেখছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এইচএ/