সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর।
এর আগে রোববার (১৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ এলাকার একটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জাল পাসর্পোট, জাল ভিসা, প্লেনের জাল টিকিট ও টিকিট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ জালিয়াত চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
র্যাব-১০ এর সিও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করে নাসিবুরকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৩২ ধরনের নকল পাসপোর্ট ও বিভিন্ন দেশের নকল ভিসা, স্ট্যাম্প, টিকিট তৈরির কাগজপত্রসহ পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে আতিকুল ও কুদ্দুসকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আতিকুর কদমতলী থানায় পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। টাকার বিনিময়ে নাসিবুরের কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট সংগ্রহ করতেন। আতিকুর প্রতিটি জাল পাসপোর্ট বাবদ সাড়ে চার হাজার টাকা দিতো। পরে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে সেগুলো বিক্রি করতেন।
ওই চক্রের অপর আসামি কুদ্দুস। তিনি নকল সিলমোহর তৈরির কাজ করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, নাসিবুর ২০১০ সাল থেকেই ওই পাসপোর্ট জালিয়াতি করে অনেক মানুষকে অবৈধ পথে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ওই চক্রের আরও সদস্যের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এসজেএ/এএটি/জেডএস