সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) শাহজাদপুর পৌর এলাকার মনিরামপুর মহল্লায় মেয়র মীরুর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে পাইপগানটি উদ্ধার করা হয়।
এরই মধ্যে ময়নাতদন্তে শিমুলের মাথার ভেতর থেকে পাওয়া সিসার লেটবল, জব্দকৃত মেয়রের লাইসেন্সকৃত শটগান, কার্তুজের লেট বল ও কার্তুজের খোসার ব্যালেস্টিক প্রতিবেদন ডাকযোগে আদালতে পাঠিয়েছে সিআইডির ব্যালেস্টিক বিভাগ।
পুলিশ সুপার বলেন, মেয়র মীরুর লাইসেন্সকৃত শটগানে ব্যবহৃত লেটবলের সঙ্গে ভিকটিম শিমুলের মাথায় বিদ্ধ লেটবলের সাদৃশ্য পেয়েছে সিআইডির ব্যালাস্টিক বিভাগ। তবে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার সময় অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র থেকেও গুলি ছোড়া হয়েছিল। এ কারণে মিন্টুর ব্যবহৃত পাইপগানটির ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিক শিমুল হত্যার ঘটনায় মোট ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে মেয়র গ্রুপ ও ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে মেয়র মীরু ও তার ভাই মিন্টুসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
আরবি/