সোমবার (মার্চ ২০) মন্ত্রিসভার ১৪০ তম ও চলতি বছরের নবম সভায় এ আইন নীতিগত অনুমোদন করলো মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে বলা হয়েছে (তিন নম্বর ধারায়) সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতির আওতায় হস্তান্তরিত বা বিক্রিত বস্ত্র মিলগুলো সম্পাদিত চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলে সরকার তা পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ যেগুলো হ্যান্ডওভার হয়ে গেছে, তারা যদি শর্ত লঙ্ঘন করে তাহলে সরকার তা ‘টেক ব্যাক’ করতে পারবে। এ বিধানটা আনা হয়েছে। প্রয়োজনে কারখানা ফিরিয়ে নিতে পারবে। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশের বস্ত্রখাতের সুরক্ষা ও কেন্দ্রীয় নজরদারির স্বার্থে আরো কিছু বিষয় আইনে যোগ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যেমন নতুন আইনের ৫ নম্বর ধারায় আমদানিকৃত বস্ত্র উপকরণের (যেমন রং, কেমিকেল ইত্যাদি) মান যাচাইয়ের জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি যে কোন পর্যায়ে এসব বস্ত্র উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করে বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে মান যাচাই করতে পারবেন। মানটা যেন এদিক ওদিক না হয়, এজন্যই এই বিধি রাখা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে বস্ত্র শিল্পে নিবন্ধনের একটি বিধি রাখা হয়েছে (৬ ধারায়)। ‘নিবন্ধন নবায়ন’ ও ‘নিবন্ধন স্থগিত’ করা বাধ্যতামূলক করতেই এ বিধান রাখা হয়েছে।
এর অধীনে ‘আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান’ ছাড়া সকল টেক্সটাইল শিল্পকে বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে নিবন্ধন দেওয়া প্রতিষ্ঠান হবে বর্তমানের ‘বস্ত্র অধিদফতর’। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের জন্য এই নিবন্ধন লাগবে। ’
সচিব জানান, ‘গার্মেন্টস শিল্পও এই আইনের মধ্যে চলে আসবে। বস্ত্রশিল্পকে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষা দেওয়া, লুক আফটার করা, মনিটরিং করা ইত্যাদি কারণেই এ আইন করা হয়েছে। বর্তমানেও এ কাজ চলছে বিধির মাধ্যমে। এবার সেগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
আরএম/আরআই