সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিআরটিএ’র ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- বিআরটিএ সিলেটের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মন্টু, মোটরযান সহকারী কেশব কুমার ও উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব।
আদালতের পিপি মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, একইদিন তারা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আদালত তাদের আবেদনটি মহানগর আদালতে পাঠিয়ে দেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কার্নেট সুবিধায় আনা গাড়ি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেন বিআরটিএ সিলেট অফিসের এ তিন কর্মকর্তা। এ ঘটনায় তিন কর্মকর্তা ও প্রবাসীসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা (নং-৭(২)’ ১৭) দায়ের করেন দুদক ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান। কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বিআরটিএ সিলেটের এ তিন কর্মকর্তা ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথের বাসিন্দা কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানিকারক ও বিক্রেতা প্রবাসী রুপা মিয়া, বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের পঙ্কী খান ও গাড়ি ক্রয়কারী সিলেটের বাগবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মুর্শেদ আলম বেলাল।
তবে মামলা দায়েরের পর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত গাড়ি ক্রেতা মুর্শেদ আলম বেলালকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
মামলার বরাত দিয়ে দুদক সূত্র জানায়, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কার্নেট সুবিধায় দেশে গাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বনাথের প্রবাসী রুপা মিয়া। তিনি এই গাড়িটি মুর্শেদ আলম বেলালের কাছে ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। এ কারণে সরকারের প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।
গাড়িটির ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর ঘষামাজা করে রেজিস্ট্রেশন করে দেয় সিলেট বিআরটিএ কর্মকর্তারা। এজন্য ১৭ লাখ টাকা ঘুষ নেন সিলেট বিআরটিএ কর্মকর্তারা। আর গাড়ি বিক্রি থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন করানোর মধ্যস্থতা করে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পঙ্কী খান। যে কারণে মামলায় তাকেও আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এনইউ/জিপি/জেডএস