কাওছার আহমদ রিপন বলেন, প্রায় তিনমাস আগে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি করে এমন পরিচয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাসা ভাড়া নেয় জনৈক এক দম্পতি। এক্ষেত্রে ‘মর্জিনা’ নামে জনৈক নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করা হয়।
তবে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা বলেন, জঙ্গিরা ‘মর্জিনা’ কোড ব্যবহার করে ওখানে আস্তানা গড়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট ওই ভবনে ১০টি ইউনিট রয়েছে।
অন্যদিকে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভবনের দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছেন নজরুল ইসলাম নামে একব্যক্তি। ঘেরাও করে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আটকা পড়া নজরুলের সহকর্মী এ কে এম ফজলুল হক রুবেল।
রুবেল জানান, টেলিভিশন দেখে খোঁজ নিতে ফোন দিয়ে জানতে পারি ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছে নজরুল।
ঘটনাস্থলে পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। এরই মধ্যে যৌথ-বাহিনীর সদস্যরা ভবনটির চারপাশ ঘেরাও করে রেখেছেন। ভবন লক্ষ্য করে পুলিশ একের পর এক গুলি ছুড়ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সকাল সোয়া ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।
ভবনে আটকা পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার ও জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা শিববাড়ি এলাকায় উস্তার মিয়ার বাড়িটি ঘেরাও করে চারপাশে অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোরে জঙ্গিরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর সকাল ৯টা থেকে পুলিশ ভবন লক্ষ্য করে একের পর একগুলি ছুড়তে থাকে। এছাড়া ওই ভবনের আশপাশের ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
এনইউ/ওএইচ/টিআই