মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে ঢাকার দোহারে অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির চার সদস্যকে আটক করে র্যাব। অন্য সদস্যরা হলেন- তাইবুর রহমান (১৮) ও ফয়সাল আহমেদ সানিল (১৯)।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর।
তিনি বলেন, মিজবাহ নবাবগঞ্জের সোনাহাজরা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন। তিনি জেএমবির সশস্ত্র শাখার প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ইম্প্রোভাইজড ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (আইইডি) তৈরি শিখছিলেন।
মিজবাহর প্ররোচণায় মাহফুজও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সে জয়পাড়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। জিহাদে অংশ নেওয়ার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে অন্য সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করতো।
মিজবাহ ও মাহফুজের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সাল ও তাইবুরকে আটক করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফয়সাল ২০১৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ করে রানাকান্দা ইস্পাহানী কলেজে পড়াশোনা শুরু করে। সে মিজবাহর মাধ্যমে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে জঙ্গিবাদে জড়ায়। ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে সে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। ২৬ মার্চ হিজরতের উদ্দেশে সে বাড়ি ছাড়ে। ২৭ মার্চ কেরানীগঞ্জ থানায় তার নিখোঁজের ব্যাপারে জিডি করা হয়। তাইবুরও মিজবাহের মাধ্যমে জেএমবিতে নাম লেখায়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক আরও বলেন, আটকরা বিগত দেড় বছর ধরে সংগঠিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম অবমাননাকারী পোস্ট ভাইরাল করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করতেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।
কাকতালীয়ভাবে আটক চারজনেরই বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব প্রবাসী বলেও জানান তিনি।
আটকদের কাছ থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দেশীয় অস্ত্র ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
পিএম/আরআর/এএ