জঙ্গিরা নিহত হচ্ছে, তাদের বাবা-মায়েরা তাদের লাশ দেখতে আসছে না, লাশ নিতেও চাইছে না। জঙ্গিদের মূল উৎপাটন করা যায়নি, ঘাপটি মেরে রয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টায় মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল তারাই আজ দেশে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন নামে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। সিলেটে দুই পুলিশসহ ছয়জনকে জঙ্গিরা হত্যা করেছে। আজ দেশের সমস্ত পুলিশ বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। জঙ্গি দমনে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। আমরা কোনো উগ্রবাদকে প্রশ্রয় দেবো না। জঙ্গিবাদকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে উৎসাহ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে দেশের সব জনগণকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশকে সাহায্য করতে হবে এবং পুলিশের কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবে। পুলিশ যদি কোনো অপকর্মে যুক্ত হয় তাদেরও ক্ষমা করা হবে না।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি এ কে এম শহীদুল হককে স্বর্ণের চাবি উপহার দেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথিদের বিভিন্ন উপহার দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসআই