সরকারের এ প্রকল্পে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার (২৯ মার্চ) সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে কমিটি সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এ উদ্বেগ জানান।
এর আগে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন এবং মেরিনা রহমান অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বৈঠকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রইছউল আলম মন্ডলসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ফলে বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা পড়বে। এতে বনের বিরাট ক্ষতি হবে। ’
তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে, তবে তার আগে জাতীয় স্বার্থের কথাটিও বিবেচনায় নিতে হবে। তাই এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার আগে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়ার কথা বলেন সাবেক এ মন্ত্রী।
একইসঙ্গে সরকারের এ প্রকল্পটি বিকল্প পথে নেওয়া যায় কি-না বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সংরক্ষিত ওই বনের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রায় বিলুপ্ত হওয়া সবচেয়ে দীর্ঘতম গাছ। বন বিভাগ শুধু বৃক্ষসম্পদের যে আর্থিক মূল্য হিসাব করেছে, তার পরিমাণ ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ বনভূমির আয়তন প্রায় ৭২ বর্গকিলোমিটার।
সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ‘মাতারবাড়ী-মদনাঘাট-মেঘনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ নামের এ প্রকল্পের আওতায় ওই লাইন নির্মিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসএম/জেডএস