চোরাচালান রোধ ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ কার্যক্রম দেখার অংশ হিসেবে বুধবার (২৯ মার্চ) বেনাপোল বন্দর ও পুটখালী সীমান্ত পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।
মঈনুল খান বলেন, বেনাপোল বন্দরে ৮টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকায় প্রতিদিন ৫ হাজার যাত্রীকে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এছাড়া বেনাপোল বন্দরে যেন এখন থেকে আর কোনো যাত্রী হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত পুটখালীতে এখন চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আছে। আগের তুলনায় চোরাচালানের সুযোগ সীমিত। ফেনসিডিলের সরবরাহ বন্ধে এপার (বিজিবি) ও ওপারের (বিএসএফ) সংস্থারা অত্যন্ত তৎপর। আগে পুটখালী খাটালে প্রতিদিন ১০ হাজার গরু আসতো। এখন সে সংখ্যা ১০০ তে নেমে এসেছে।
যাত্রীরা শুল্ক আইনের ব্যাগেজ রুলের আওতায় নিয়ন্ত্রিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ আইনে তারা বিশেষ কিছু সুবিধা প্রাপ্য। যাত্রীরা এ সুবিধা সম্পর্কে না জানার কারণে কিছু দালালের মাধ্যমে যাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। চেকপোস্টের টার্মিনাল ভবনে ব্যাগেজ রুলের বিধান ও দালালদের খপ্পরে না পড়ার জন্য নিয়মিত মাইকিং করা হবে। বড় আকারের দৃশ্যমান সাইনবোর্ড টানানো হবে। একইসঙ্গে অভিযোগ বাক্স রাখা হবে।
মঈনুল খান আরও বলেন, বেনাপোল কাস্টমস বন্দর আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী শুল্ক আইন অনুযায়ী তল্লাশি নিশ্চিত করা হবে। নির্ধারিত চেকিংয়ের বাইরে হয়রানি হলে তা পরিহারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও কাছে কোনো ইন্টেলিজেন্স থাকলে শুল্ক আইনের ধারা ১৯২ অনুযায়ী শুল্ক কর্তৃপক্ষকে জানানোর আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনের বাইরে বাড়তি চেকিং করা যাবে না।
বেনাপোল বন্দরে তিনগুণ পণ্য আমদানি করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য আমদানির অতিরিক্ত জট সামাল দেওয়ার জন্য প্রাইভেট ওয়ারহাউস তৈরি ও লাইসেন্স দেওয়া এখন সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো নির্দিষ্ট ও ঝুঁকিহীন পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. শাওকাত হোসেন, বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেতাসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এসজে/জেডএস