বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে '২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
ড. খলীকুজ্জমান বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণহত্যার চিহ্নগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। দেশের জাদুঘরগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে’।
‘পাঠ্যপুস্তকে সুক্ষ সুক্ষ বিষয় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। যার মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস ভুলে যাবে। শিক্ষানীতি নিয়ে আমাদের অনাস্থা আছে, তা ভিন্ন সেমিনারে তুলে ধরা হবে। এবং এটা নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের সম্পৃক্ত করে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’ বলেও জানান এ সংগঠক।
শিশুদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ, পতাকা এগুলো গেঁথে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের স্কুলগুলোতে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, পতাকা চেনানো হয়। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে’।
গণহত্যার চিত্র বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। এ দাবি আদায়ে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
২৫ মার্চের বর্বরোচিত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি চেয়ে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার ক্রাইমস্ জেনোসাইড অ্যান্ড ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি’র প্রধান ড. এম এ হাসান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজের মহাসচিব ম. হামিদ, সহ সভাপতি খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এএম/এএসআর