বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন বিশিষ্টজনেরা।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নিখিল ভদ্র।
স্বাগত বক্তব্য দেন বইটির লেখক-সংকলক পিটিবিনিউজ.কমের প্রধান সম্পাদক আশীষ কুমার দে। ধন্যবাদ জানান রফিকুল ইসলাম সবুজ।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, নদ-নদী ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলসহ সচেতন নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
নদীদূষণ, দখল ও ভরাটের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মীর শওকত আলী বাদশা বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই নদীসহ সকল প্রাকৃতিক পানিসম্পদ রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব যেমন ইতিবাচক, তেমনি গণমাধ্যম, পরিবেশকর্মী ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও প্রশংসনীয়।
নদীরক্ষা ও নৌ-চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জেলাভিত্তিক কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।
শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বহুজাতিক অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো মুনাফার লোভে সহজ শর্তে এদেশে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের সড়কযান ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করছে। ফলে সড়ক ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হওয়ায় নৌ-পথ সঙ্কুচিত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নদীর অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে নদীসহ আমাদের সকল উন্মুক্ত জলসম্পদ রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এএসআর