ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘জাতীয় স্বার্থে নদী, নৌ-পথ, নৌ-পরিবহন বাঁচাতে হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
‘জাতীয় স্বার্থে নদী, নৌ-পথ, নৌ-পরিবহন বাঁচাতে হবে’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের অতিথি ও আলোচকরা

ঢাকা: ‘ভৌগলিক কারণেই নদ-নদী ও বাংলাদেশ- পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে নদীসহ আমাদের সকল উন্মুক্ত জলসম্পদ রক্ষা করতে হবে। আর নদীগুলোর যথাযথ সংরক্ষণে নৌ-পথ সচল রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে’।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন বিশিষ্টজনেরা।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদল ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নিখিল ভদ্র।

স্বাগত বক্তব্য দেন বইটির লেখক-সংকলক পিটিবিনিউজ.কমের প্রধান সম্পাদক আশীষ কুমার দে। ধন্যবাদ জানান রফিকুল ইসলাম সবুজ।  

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, নদ-নদী ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলসহ সচেতন নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

নদীদূষণ, দখল ও ভরাটের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মীর শওকত আলী বাদশা বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই নদীসহ সকল প্রাকৃতিক পানিসম্পদ রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব যেমন ইতিবাচক, তেমনি গণমাধ্যম, পরিবেশকর্মী ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও প্রশংসনীয়।

নদীরক্ষা ও নৌ-চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে জেলাভিত্তিক কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বহুজাতিক অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো মুনাফার লোভে সহজ শর্তে এদেশে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের সড়কযান ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করছে। ফলে সড়ক ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হওয়ায় নৌ-পথ সঙ্কুচিত হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নদীর অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে নদীসহ আমাদের সকল উন্মুক্ত জলসম্পদ রক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।