এ ঘটনায় ইউপি সদস্য শফিউল রহমান সোহাগকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানায় নিহতের ভাই সুমন পণ্ডিত মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানকে প্রধান আসামি করে এবং একই ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিউল রহমান সোহাগ, আওয়ামী লীগের কর্মী সজীব, শরীফ হোসেন, হাবিব মিয়া, হাসু ও দেওয়ান হালিমসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শামীম হাসান বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (২৯ মার্চ) গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই মামলাটি দায়ের করেন। ইউপি সদস্য আটক থাকায় এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকী আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে ঝুট ব্যবসা নিয়ে কোন্দল চলে আসছিল। বুধবার সকাল থেকে নয়ারহাট বাজার এলাকায় মোয়াজ্জেম লোকজন নিয়ে বসে ছিলেন। পরে বিকেলে চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে অতর্কিত গুলি বিনিময় ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে রহিম ও হালিম গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রহিম ও হালিমকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিলে চিকিৎসক রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
আরবি/আরএ