বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, লাইফ সাপোর্টে রাখা এই র্যাব কর্মকর্তা আর নেই, চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় গত ২৫ মার্চ রাতে একটি বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আবুল কালাম আজাদ। এর পঁাচ দিন পর তার মৃতু্য হলো। এ নিয়ে বিষ্ফোরণের ওই ঘটনায় মৃতূ্যর সংখ্যা দঁাড়ালো ৭ জনে। ঘটনার পরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হন।
সেসময় র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও উপ-পরিচালক মেজর আজাদসহ ৪২ জন গুরুতর আহত হন।
প্রথমেই লে ক. আজাদকে সিলেটের এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাতেই তার মাথায় বেশ কয়েকটি সার্জারি হয়। পরে হেলিকপ্টাবে ঢাকা পাঠিয়ে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে ২৬ মার্চ (রোববার) তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়। পরে ২৯ মার্চ আবুল কালাম আজাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা অবস্থাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে এনে ফের সিএমএইচ-এ নেওয়া হয় তাকে।
তার এক দিন পর বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ১২টা ৫ মিনিটে চিকিৎসকরা আবুল কালাম আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, মরদেহ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিএমএইচ-এ রয়েছে। আবুল কালাম আজাদের জানাযা কখন হবে তা পরে জানানো হবে।
১৯৭৫ সালে আবুল কালাম আজাদের জন্ম হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ এই সামরিক কর্মকর্তা ১৯৯৬ সালে ৩৪তম ব্যচে বিএমএ লং কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে এলিট ফোর্স খ্যাত র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। ওই বছরই তাকে পদোন্নতি দিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক করা হয়। আর পরে ২০১৩ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এজেডএস/এসজেএ/ইএস/এসআই/এমএমকে