ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রত্যক্ষদর্শী বর্ণনা 

শিশুটি মায়ের দেহেই লেপ্টে ছিল

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
শিশুটি মায়ের দেহেই লেপ্টে ছিল

মৌলভীবাজারের নাসিরপুর থেকে ফিরে: ওরা ছিল সাতজন। দুই পুরুষ, দুই নারী এবং তিনটি মেয়ে শিশু। শিশুগুলোর মধ্যে একজনের বয়স আট থেকে ১০ মাস। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আমিও ওই বাড়িতে ঢুকে দেখি তাদের ছিন্নভিন্ন দেহ। ঘরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে আট-১০ মাসের শিশুটির মরদেহ মৃত মায়ের শরীরে লেপ্টে ছিল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে এভাবেই বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন নাসিরপুরে জঙ্গিদের প্রতিবেশী চুনু চৌধুরী।  

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমার বাড়িতেই দু’দিন ধরে অবস্থান করছিলেন।

তাদের বসার ব্যবস্থা, খাওয়া-দাওয়া সবই আমার এখানেই। এভাবে তাদের সাহায্য করার কারণে সোয়াট বাহিনীর অভিযান শেষ হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আমি ভেতরে ঢোকার অনুমতি পাই। নিহত বাকি দুই শিশুর বয়স আট থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এসময় জঙ্গিদের দেহ থেকে বিছিন্ন হওয়া অংশগুলো ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বস্তায় ভরে।  

আত্মহননে জঙ্গিরা মারা গেছে কি না জানতে চাইলে চুনু চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে একটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
বিবিবি/ এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।