শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার কিছু আগে তার মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছে। ঢামেক মর্গ সূত্র জানায়, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিছু সময় আগে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা শাথার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, শুক্রবার বাদ জুমা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে আবুল কালাম আজাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টায় র্যাব সদর দফতরে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানীতে ঢাকা সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, লাইফ সাপোর্টে রাখা এই র্যাব কর্মকর্তা আর নেই, চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় গত ২৫ মার্চ রাতে একটি বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আবুল কালাম আজাদ। এর পাঁচ দিন পর তার মৃতু্য হলো। এ নিয়ে বিষ্ফোরণের ওই ঘটনায় মৃতূ্যর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে। ঘটনার পরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হন।
ওই সময় র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও উপ-পরিচালক মেজর আজাদসহ ৪২ জন গুরুতর আহত হন।
প্রথমেই লে. ক. আজাদকে সিলেটের এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাতেই তার মাথায় বেশ কয়েকটি সার্জারি হয়। পরে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে ২৬ মার্চ (রোববার) তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ২৯ মার্চ আবুল কালাম আজাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা অবস্থাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে এনে ফের সিএমএইচ-এ নেওয়া হয় তাকে। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ১২টা ৫ মিনিটে চিকিৎসকরা আবুল কালাম আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, মরদেহ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিএমএইচ-এ রয়েছে। আবুল কালাম আজাদের জানাজা কখন হবে তা পরে জানানো হবে।
১৯৭৫ সালে আবুল কালাম আজাদের জন্ম হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ এই সামরিক কর্মকর্তা ১৯৯৬ সালে ৩৪তম ব্যচে বিএমএ লং কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে এলিট ফোর্স খ্যাত র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। ওই বছরই তাকে পদোন্নতি দিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক করা হয়। পরে ২০১৩ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন আবুল কালাম আজাদ।
**র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এজেডএস/এসজেএ/জেডএস