ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সামাজিক অবিচার ও বৈষম্যে জঙ্গিবাদের উত্থান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
সামাজিক অবিচার ও বৈষম্যে জঙ্গিবাদের উত্থান অবিচার ও বৈষম্যে জঙ্গিবাদের উত্থান, ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: সামাজিক অবিচার ও বৈষম্যের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সাধারণ সম্পাদক মার্টিন চুংগং।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে আইপিইউ সম্মেলন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইপিইউ মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চুংগং বলেন, পৃথিবীতে এখনও রাজনৈতিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে।

সামাজিক অবিচার ও বৈষম্য পৃথিবীতে জঙ্গিবাদ উত্থানের অন্যতম কারণ।

স‍াম্প্রতিক সময়ে দেশে-দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানকে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেও দায়ী করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীসহ অন্যরা।

বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। বৈষম্য নিরসনে এবারের আইপিইউ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে জানান তারা। শনিবার (১ এপ্রিল) ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে এ বিষয়ে বির্তক অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ শুধু সামরিক শক্তি দিয়েই মোকাবেলা করা ঠিক হবে না। কেন এই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন। সেখানে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার একটি বড় সুযোগ থাকবে। এমন অনেক দেশ আছে যেসব দেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন নেই। সেসব দেশের প্রতিনিধিরাও থাকছেন। ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতেও এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আইপিইউ সম্মেলন উপলেক্ষে সংবাদ সম্মেলন, ছবি: রানাসাবের হোসেন বলেন, এবারের সম্মেলন হবে আইপিইউ’র ইতিহাসে প্রথম গ্রিন সম্মেলন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য যেসব পণ্য রফতানি করা যায়, সেগুলো নিয়ে একটি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই সম্মেলনকেও সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এখানে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা থাকবে, তারা কীভাবে তুলে ধরবে সেটাই বড় কথা। শুধু গণহত্যা দিবস নয়, নানা বিষয়ে তুলে ধরবার সুযোগ পাওয়া যাবে।  

আইপিইউ ১৩৬তম সম্মেলনে এখন পর্যন্ত ১৬৪টি ডেলিগেশন টিম এবং ১৩২টি সংসদের ১ হাজার ৩৪৮ জন প্রতিনিধি ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌ‍ঁছেছে। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৪৫ জন স্পিকার এবং ৩৭ জন ডেপুটি স্পিকার অংশ নিচ্ছেন।

আইপিইউ’র ১৩৮ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম গ্রিন সম্মেলন হতে যাচ্ছে। যা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইপিইউ এর ১৩৬তম সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

আইপিইউ সম্মেলন চলাকালে এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় আগামী ২ ও ৪ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সব ভিআইপি চলাচল বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এসএমস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।