বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে তুষ্ট হলে হবে না। সংকট মোকাবেলায় সবাইকে এক হতে হবে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা আয়োজিত ‘আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দীপ্ত মেধা যুক্তি ও শান্তির সমাজ গড়ি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোর্চার আহ্বায়ক সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদের প্রতিরোধ করছে এই আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, কেউ যেন ভ্রান্ত পথে যেতে না পারে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, কওমি, ইংরেজি ও সাধারণ; তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংকট বাড়ছে।
স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষকে চরম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মানুষকে বিভ্রান্তির পথ থেকে সরিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ দেশের অনেকের মনোজগতে সাম্প্রদায়িকতা প্রাধান্য পাচ্ছে। এ কারণে যাদের আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির দল হিসেবে চিহ্নিত করছি তাদের প্রার্থী নির্বাচনে ভোট পাচ্ছে। নির্বাচনে পরাজিত হলেও তারা ভালো ভোট পাচ্ছে।
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে সংকট মোকাবেলা করা যাবে না।
দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা হয়নি, পাকিস্তান যেভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিপরীতে বাংলাদেশ যথাযথভাবে কিছু করছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এমইউএম/এমজেএফ