এ সময় তারা দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিও তোলেন।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার কুলাকাঠি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ বিক্ষোভ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কুলকাঠি ইউনিয়নের তৌকাঠি গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় পালিয়ে যায় সে।
এ ঘটনার জের ধরে নলছিটি থানা পুলিশের একটি দল রাতে তৌকাঠি গ্রামে অভিযান চালায়। গ্রামের রাজিব হাওলাদারের বাড়িতে জসিম আশ্রয় নিতে পারে সন্দেহে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়। জসিমকে ওই বাড়িতে না পেয়ে রাজিবকে আটক করে পুলিশ।
বিনা কারণে ছেলে আটকের প্রতিবাদ করায় রাজিবের মা সেলিনা বেগমকে মারধর করে পুলিশ। আর এ খবর সকালে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা থানায় চলে আসেন।
কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে আসামি ধরতে গিয়ে ইউনিয়নের তৌকাঠি গ্রামের মৃত ফারুক হাওলাদারের ছেলে নিরীহ যুবক রাজিব হাওলাদারকে (২২) ধরে থানায় আনে। পাশাপাশি তার মাকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। সকালে স্থানীয়রা জানতে পারেন যে, রাজিবকে মাদকসেবী সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সকাল থেকে থানা অবরোধ করে রাখে।
পরে বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থানায় এসে বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য শুনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম সুলতান মাহামুদ জানান, আটক ব্যক্তির কাছে গাঁজা পাওয়া যাওয়ায় তাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে ওইসময় কোনো নারীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেনি।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব জানান, চেয়ারম্যান ও এলাকার বেশ ক’জনের সাথে কথা হয়েছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এমএস/এএটি/আরআই