ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মিরসরাই থেকে কোটবাড়ী জঙ্গি আস্তানার সন্ধান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
মিরসরাই থেকে কোটবাড়ী জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিরসরাই থেকে কোটবাড়ী জঙ্গি আস্তানার সন্ধান/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মিরসরাইয়ের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃতদের কাছে পাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি এলাকায় গন্ধমতি গ্রামে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ চলার পর সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ব্রিফ করেন তিনি।  

কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হুসাইন।  

শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন ওই জঙ্গি আস্তানার অভিযান বিকেলে শেষ হয়েছে। ওই আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো শনিবার সকালে নিষ্ক্রিয় করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে দু’টো ট্রলিতে করে ৫ কেজি করে বোমা, আলাদা একটা ব্যাগে ৪টি গ্রেনেড ও ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট জব্দ করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, অভিযানকালে ওই আস্তানা লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড টিয়ার শেল ও বুলেট ছুড়েছে কাউন্টার টেররিজম, সোয়াট ও র‌্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। তবে আস্তানায় কোনো জঙ্গি পাওয়া যায়নি।

অভিযান সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ১৫ মার্চ মিরসরাই থেকে উদ্ধার করা জঙ্গিদের কাছ থেকে অর্ধপোড়া একটি মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়। পরে ওই মোবাইল সেট পুলিশের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আনাস (২০) এবং রনি (২২) নামে দু’জনের নামপরিচয় পাওয়া যায়। এদের একজনের বাড়ি নোয়াখালী ও অন্যজনের রাজশাহী/চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জঙ্গির যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানতে পারে পুলিশ।

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় মিরসরাই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিতে পারেনি তারা। এরপর ১ মার্চ কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকার ওই তিনতলা নিচতলায় থাকতো তারা। রনি আগে জেএমবি সদস্য ছিল, বর্তমানে নব্য জেএমবি। ২৯ মার্চ বিকেলে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।  

এরপর থেকেই সন্ধান পাওয়ার পর গত তিনদিন ধরে বাড়িটি ঘিরে রাখে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। কুমিল্লা মহানগরীর সদর দক্ষিণ উপজেলার ২৪ নং ওয়ার্ডের কোটবাড়ি এলাকায় গন্ধমতি গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ শুরু শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টায়।

অভিযান শুরুর আগে ওই আস্তানার আশেপাশের প্রায় ২ কি.মি. এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।  
কাউন্টার টোরোরিজম ইউনিট ও যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অভিযানে র‌্যাবের ৪টি টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টা ও দুপুরে ওই এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

তারও আগে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করে মাইকিং করা হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টার পর সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপালী মন্ডলের নির্দেশে এ মাইকিং করা হয়।

আরও পড়ুন
**‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ সমাপ্ত, সন্ধ্যায় ব্রিফিং
**‘কুমিল্লার আস্তানায় জঙ্গি নেই, রয়েছে বিস্ফোরক’
** কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানায় গুলির আওয়াজ

**কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’
**কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু
**কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানার ২ বর্গকিমি. জুড়ে ১৪৪ ধারা
**কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও
**আটক ব্যক্তির তথ্যে কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।