শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ডুবুরি দল মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওইসব মরদেগ উদ্ধার করে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘দুরন্ত’ ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটি টেনে তীরে নিয়ে আসে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ছয়টি মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান বলেন, ছয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন, ঢাকার রামপুরা এলাকার হারুন ভান্ডারীর স্ত্রী বানু বেগম (৪৫) ।
এর আগে দুপুরে উদ্ধারকৃতরা হলেন- ঢাকার রামপুরা এলাকা শফিক মিয়ার মেয়ে রুবিনা আক্তার (৩০), রুবিনার মা শাফিয়া আক্তার (৪৬), রামপুরা এলাকার জয়বুন নেছা (৬৫) এবং তার দুই মেয়ে রানু আক্তার (৩২) ও সান্তা আক্তার (২৮)।
নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীনুর ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, এখনো ৬-৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের উদ্ধার না হবে ততক্ষণ অভিযান চলবে।
৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানী রামপুর থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে মতলবের বেলতলি সোলেমান শাহ ওরফে লেংটার মেলায়া যাচ্ছিলো। বিকেল ৪টার দিকে সোনারগাঁয়ের চার কিশোরগঞ্জ এলাকাতে মেঘনার ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
জিপি/