ডুপ্লেক্স ভবনটাতে বুলেটপ্রুফ কাচ ও ভবনের ভেতরে-বাহিরে টাইলসের আস্তরণ থাকায় তা ভাঙতে বেগ পেতে হয় সোয়াটের (স্পেশাল উইপন অ্যান্ড ট্যাকটিস টিম)।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অভিযানের সময় দেয়াল এবং বুলেটপ্রুফ মার্কারি গ্লাস থেকে গুলি ফিরে আসে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির গঠন দেখে বাড়ির মালিককে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বাড়িটিতে টু-লেট লাগানো দেখে ভাড়া নিতে গেলেও স্থানীয়দের ভাড়া না দিয়ে একই জঙ্গি গ্রুপকে নাসিরপুর ও বড়হাট এর দুই বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় এ সন্দেহ জোরদার হয়েছে।
এই সন্দেহ থেকে সোয়াট নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জুয়েলকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তার জঙ্গি কানেকশনের সম্ভাব্যতা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সূত্র জানান, জুয়েল স্থানীয়দের বাড়ি ভাড়া না দিয়ে একই জঙ্গি গ্রুপকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে দুই বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় আগে থেকেই তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু বড়হাট আস্তানার নির্মাণ সামগ্রী ও বুলেটপ্রুফ গ্লাসের ব্যবহার মালিককেও সন্দেহের মধ্যে নিয়ে এসেছে।
বাড়িটি যেন এক শক্ত পরিখা দ্বারা সুরক্ষিত। মালিক কেন হঠাৎ করে এমন নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করেছিল ভাবা হচ্ছে তাও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে তার জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে কি না।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
আরআই