শনিবার (০১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল, ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র দাউদ ফেরদাউস, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুঈন উদ্দিন আরিফ, অর্ণব সাদনিম, তাকবির মাহিন, ওয়াহিদা আক্তার তৃষ্ণা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে দাউদ ফেরদাউস বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি চরম আকার ধারণ করেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘এসব পরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত। শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে তাদের পরিবহনে ওঠানো হয় না। জোর করে উঠলেও তাদের সঙ্গে অযাচিত আচরণ করা হয়, যা সকল শিক্ষিত সমাজের অবমাননা। অথচ আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের সম্পদ। তারাই আগামী দিনের দেশকে নেতৃত্ব দেবে’।
‘তাই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি, রাজধানীসহ সব নগর-মহানগরে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া ও দূরপাল্লার যানে শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে’।
আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সারাদেশে গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর, রাজধানীসহ দেশের নগর-মহানগর ও আন্তঃজেলা গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর এবং দূরপাল্লার পরিবহনে শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ভাড়া ছাড়।
এছাড়া রয়েছে- যানজট নিয়ন্ত্রণ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যাত্রীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতে যত্র-তত্র যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা, নামে-বেনামে চালু হওয়া সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বিআরটিএ’র অনুমতিক্রমে কিছু স্পেশাল পরিবহন চলাচল, তবে তা অবশ্যই যথাযথ মানের হওয়া, গণপরিবহনের ভাড়ায় সমতা এনে গাড়িতে ভাড়ার চার্ট রাখা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে শাস্তির ব্যবস্থা।
পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ’কে নিয়মিত ‘কার্যকর’ অভিযান পরিচালনা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করা, প্রাইভেট পরিবহনের চাপ কমাতে উন্নতমানের এসি, নন-এসি সার্ভিস চালু এবং ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
ইএস/এএসআর