এদিকে ব্রিজ মেরামতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা রেল কর্তৃপক্ষের।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৯৪১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১ বছর আগে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ বছরই ব্রিজটি নতুন করে নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। যাত্রীদের সুবিধার্থে সিলেটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে প্রথমে চিন্তা করা হয়েছিল ব্রিজের দুই প্রান্তে ট্রেন রাখা হবে। সেখান থেকে যাত্রীরা গন্তব্য পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় এ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেল লাইনের আধুনিকায়নে ব্রড গ্রেজ লাইন নির্মিত হলে পুরাতন সব ব্রিজ ভেঙে নতুন করে নির্মিত হবে।
রেলওয়ে বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজের প্রধান দুটি পিলার ধসে পড়ায় এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোহার পাত দিয়ে অস্থায়ীভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ব্রিজের নিচে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি না থাকায় ও বৃষ্টিপাতে কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে আরো দুই দিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের কারণে উপজেলার ইটাখলার অদূরে ব্রিজটির নিচের মাটি সরে গিয়ে একটি পিলার ধসে যায়। পরে কাজ চলাকালীন সময়ে ব্রিজের আরেকটি পিলার ধসে যায়। সে কারণে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে শুর হয়ে তিন দিন সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এনটি