ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন পুতুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন পুতুল সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে নির্বাচিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

শনিবার (০১ এপ্রিল) সকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লি কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়।

অটিজম অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পুতুলের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশুদের দুর্ভোগের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা এবং তাদের বাবা-মা ও যত্নকারীদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

বলা হয়, পুতুল তার নিজ দেশ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য এজেন্ডায় অটিজম ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে যে চেষ্টা করেছেন তা অভূতপূর্ব। এছাড়াও বাংলাদেশকে অটিজমের বিষয়ে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রধান ডা. পুণাম ক্ষেত্রপাল বলেন, আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি এই অঞ্চলে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অটিজমের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন, যা আঞ্চলিক সীমানা ছাড়িয়ে যাবে।  

তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ১৬০ জনের অটিজমের বৈশিষ্ট রয়েছে অথবা প্রতি ৬২ জন শিশুর মধ্যে একজন এই বৈশিষ্টের রয়েছে। উন্নত বিশ্বে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে (এএসডি) ভোগা একজন ব্যক্তির পেছনে খরচ করা হয় ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি বারো লক্ষ টাকা। সেখানে নিম্ন ও মধ্যআয়ের দেশগুলোতে এই খরচের পরিমান অনেক কম।

ড. ক্ষেত্রপাল বলেন, সেখানে তাদের জীবন সংগ্রামের। বেশিরভাগ সময়ই কুসংস্কার, অবহেলা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে জীবন পার করতে হয়। অটিজম ধারাবাহিকভাবেই জনস্বাস্থ্যের জন্যে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আরো অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

এএসডি মোকাবেলায় জনসচেতনতা তৈরি এবং কমিউনিটিকে সংযোগ করে কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ড. ক্ষেত্রপাল বলেন, সায়েমা ওয়াজেদের প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলের ১১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অটিজম নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। এএসডি এবং অন্যান্য স্নায়ু বিষয়ক সমস্যাগুলো স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টি উন্নয়ন প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। দশটি মেডিকেলে কলেজে শিশুদের প্রতিবন্ধকতা নির্ণয়ের জন্যে বিশেষ ইউনিট চালু করা হয়েছে।

অটিজম নিয়ে এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭/২০০৩ ঘণ্টা
এমএন/আরআইএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।