শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে প্রায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশুরা হলো- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের মহসিনের ছেলে হাসিব (০৬) এবং একই উপজেলা পল্লীমঙ্গল বাজার এলাকার বাচ্চুর ছয় মাস বয়সী ছেলে রাহাত।
চার দিনে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১৯ জনের মধ্যে ১০ নারী, পাঁচ পুরুষ ও দুই শিশুসহ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও মো. ওবায়দুর রহমান জানান, ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস পাঁচ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এছাড়াও স্থানীয়রাও এ কাজে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ যে দুই শিশুকে এখনো পাওয়া যায়নি তাদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করবে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ এবং ঘাট মালিকদের অব্যবস্থাপনার কারণে এ ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান, কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এনটি