সাকিব সদর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে এবং যশোর কলেজে ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
গুলিবিদ্ধ সাকিবকে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া ১০টার দিকে সাকিবসহ তিন বন্ধু (সেতু, পিয়াস ও সাকিব) শংকরপুর বাস টার্মিনাল থেকে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে শংকরপুর মহিলা মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুঁড়লে সাকিব গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় অন্য দুই বন্ধু তাকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা সাকিবকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বন্ধুদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুত এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ সাকিবকে দেখতে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু শহীদ মো. সরোয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদুজ্জামান আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, সাকিবের বাম কানের উপরে এক রাউন্ড গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইউজি/এসএইচ