তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা ভাষা দিবস উদযাপন করি। সে উদযাপন আমরা করতাম প্রত্যুষে।
রোববার (২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৩৮তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
এর আগে সমাবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত গেয়ে, পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
‘ছাত্র-জনতা ঐক্য গড়, শিক্ষা-সংস্কৃতি রক্ষা কর’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তার। সঞ্চালনা করেন জিএম জিলানী শুভ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতারা। বক্তারা ডাকসু নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। এতে ভারত, শ্রীলংকা, নেপালের বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭০ সালে প্রথম, যখন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র হয়েছে এবং নির্বাচন সামনে আসছে, তখন একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন মধ্যরাতে চলে গেল। ১২টা ১মিনিটে মধ্যরাতের যে উদযাপন সেটি পুঁজিবাদীরা করে। তাদের থার্টিফার্স্ট নাইট মধ্যরাতে অন্ধকারে আতশবাজি এবং বোমাবাজির মধ্যে শুরু হয়। এ যে আমরা (২১ শে ফেব্রুয়ারি) সকালকে মধ্যরাতে নিয়ে গেলাম, এর তাৎপর্য কী? সেটি আমার কাছে একটা প্রশ্ন।
জঙ্গিরাও পুঁজিবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ যে সব জঙ্গিরা নিজেদের আদর্শবাদী বলে মনে করছে, আসলে তারা ভ্রান্ত আদর্শের জন্য লড়ছে, প্রাণ দিচ্ছে। তারা পুঁজিবাদের জন্য লড়ছে। তারা মনে করে, ইহকালে তারা মারা গেলে পরকালে বেহেশতে চলে যাবে। এসব কাজের মধ্যদিয়ে পরকালের জন্য পুঁজির সঞ্চার করছে। এটাও একটা পুঁজিবাদী চিন্তা।
সমাবেশের পর একটি র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ-মৎস্য ভবন-মতিঝিল-কাদের চত্বর-শিক্ষা অধিকার চত্বর, দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। বিকেল ৪টায় টিএসসি রাজু স্মারক ভাস্কর্যে সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ