আগামী ৪ বছর খুলনার ক্রীড়াঙ্গনে কারা নেতৃত্ব দেবেন তার জন্য মোট ২২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন শুরু হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ ও খুলনার ক্লাব সংগঠক পরিষদ নামে দু’টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন- রফিকুল-শামীম- মোতালেব-সুজন এবং খুলনার ক্লাব সংগঠক পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন- তপন-সাইফুল-মুনসুর- গোলাম-দোজা।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার গঠণতন্ত্র অনুযায়ী জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে সংস্থার সভাপতি। সাধারণ সম্পাদকই সংস্থার নির্বাহী প্রধান। সাধারণ সম্পাদক ছাড়া ৪টি সহ-সভাপতি, একটি অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক, দুটি যুগ্ম সম্পাদক, একটি কোষাধ্যক্ষ, ১৩টি নির্বাহী সদস্য এবং ৪টি সংরক্ষিত সদস্যসহ মোট ২৬টি পদে ভোট গ্রহণ চলছে।
সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী শামীম আহসান। অন্যটিতে সব ক্লাব সংগঠক পরিষদ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা।
কাজী শামীম আহসানের প্যানেলের সহ-সভাপতি পদ লড়ছেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোর্তজা রশিদী দারা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম ও শফিকুর রহমান। এ প্যানেলের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে মোতালেব মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জি এম রেজাউল ইসলাম ও শেখ হেমায়েত উল্লাহ ও কোষাধ্যক্ষ হাসান জহির মুকুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
ক্লাব সংগঠক পরিষদ প্যানেল থেকে ৪টি সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজমল আহমেদ তপন, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, মোহামেডান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান বাবু ও ক্রীড়া সংগঠক মুনসুর আজাদ।
এ প্যানেলের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে মুজিবুর রহমান ফয়েজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী ও একরামুল কবির মিল্টন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ইমতিয়াজ হোসেন পিলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ১৩টি সদস্য পদে লড়ছেন যারা-শামীম-সুজন পরিষদ থেকে সুজন আহমেদ, ফরহাদ নেওয়াজ সিমু, এনামুল কবির মুন্নু, হেলাল আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ পপা, মোস্তাফিজুর রহমান ফিরু, নাজমুল ইসলাম, শাহরিয়ার সাজ্জাদ, জাহিদ কামাল টিটো, মোমতাজ আহমেদ, মনোয়ার আলী মনো, খালেদীন রশিদী সুকর্ন ও নাজমুস সাদাত। উপজেলা কোটায় দিঘলিয়ার খান নজরুল ইসলাম ও ডুমুরিয়ার অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান এবং নারী সংগঠক কোটায় পারভীন রহমান ও মামনুরা জাকির খুকুমনি ভোটে লড়ছেন।
অন্যদিকে তপন-সাইফুল-গোলাম-মুনসুর-দোজা প্যানেল থেকে সদস্য পদে লড়াই করছেন আসিফ ইকবাল রিংকু, আফজালুর রহমান, এহসানুল হক মানিক, ওয়াহেদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, বদরুজ্জামান মামুন, শেখ খালিদ আহসান, কনক রহমান, জেড এ মাহমুদ ডন, আবদুস সালাম ঢালী ও খালেদীন রশিদী সুকর্ন। উপজেলার প্রার্থীরা হলেন দিঘলিয়ার খান নজরুল ইসলাম ও রূপসার এবিএম কামরুজ্জামান এবং মহিলা প্রার্থী ফাতেমা আজাদ মৌরী ও রোকেয়া খাতুন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/বিএস