ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাপ-দাদার ভূমি রক্ষায় আন্দোলনে বছিলার লাখো মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
বাপ-দাদার ভূমি রক্ষায় আন্দোলনে বছিলার লাখো মানুষ লাখো মানুষের অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়েছে। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: বাপ-দাদার ভিটে-মাটি রক্ষায় রাস্তায় নেমে এসেছেন সাভার-কেরানীগঞ্জের তিনটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাউজক) আবাসন প্রকল্প নির্মাণে ১৬টি মৌজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন  তারা।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বছিলা ব্রিজের কলাতিয়া পর্যন্ত তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান নিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

লাখো মানুষের এ অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়েছে।

এর একটি অংশ ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।

নারী, শিশু, প্রবীণ, ছাত্র-শিক্ষক, নেতা, সমাজপতিসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক কাতারে নেমে এসেছেন। তাদের দাবি একটাই, বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারাতে চান না। আর এ জমি রক্ষায় তারা যেকোনো মূল্য দেবেন বলেও স্লোগান দিচ্ছেন।

বাপ-দাদার ভিটে-মাটি রক্ষায় মানববন্ধনে  সব শ্রেণী-পেশার মানুষরাজউক যে ১৬টি মৌজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- আহাদীপুর, নিশানবাড়ী, বাড়িলগাঁও, কাশারিয়া ভাওয়াল, নিমতলী, দেউলি, দেউতা, দক্ষিণ বাহেরচর, উত্তর বাহেরচর, বরইকান্দি, ছাগলাকান্দি, চুনার চর, বাকুরত্তা, বাছুলি ও বিনামালী। মৌজাগুলো কেরানীগঞ্জের তারানগর, কলাতিয়া ও সাভারের বাকুরত্তা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে।

উত্তর বাহেরচরের প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্মদ শওকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১৬টি মৌজায় প্রায় ১০ লাখের বসবাস। এখানে আবাদি জমি ও বসতভিটা রয়েছে। তার নিজেরও রয়েছে ৩শ’ শতাংশ জমি। যেখানে বরই বাগান করেছেন তিনি। রাজউক ভূমি অধিগ্রহণ করলে এলাকার সাধারণ মানুষ বাপ-দাদার  ভিটে-মাটিহারা হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলে রাস্তায় নেমে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।

এখন পর্যন্ত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুরুব্বিরা জানিয়ে তিনি বলেন, যতোদিন রাজউক সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে ততোদিন এ আন্দোলন চলবে। দাবি একটাই, এ এলাকায় কোনো আবাসন প্রকল্প করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।