সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বছিলা ব্রিজের কলাতিয়া পর্যন্ত তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান নিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
লাখো মানুষের এ অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়েছে।
নারী, শিশু, প্রবীণ, ছাত্র-শিক্ষক, নেতা, সমাজপতিসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক কাতারে নেমে এসেছেন। তাদের দাবি একটাই, বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারাতে চান না। আর এ জমি রক্ষায় তারা যেকোনো মূল্য দেবেন বলেও স্লোগান দিচ্ছেন।
রাজউক যে ১৬টি মৌজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- আহাদীপুর, নিশানবাড়ী, বাড়িলগাঁও, কাশারিয়া ভাওয়াল, নিমতলী, দেউলি, দেউতা, দক্ষিণ বাহেরচর, উত্তর বাহেরচর, বরইকান্দি, ছাগলাকান্দি, চুনার চর, বাকুরত্তা, বাছুলি ও বিনামালী। মৌজাগুলো কেরানীগঞ্জের তারানগর, কলাতিয়া ও সাভারের বাকুরত্তা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে।
উত্তর বাহেরচরের প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্মদ শওকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১৬টি মৌজায় প্রায় ১০ লাখের বসবাস। এখানে আবাদি জমি ও বসতভিটা রয়েছে। তার নিজেরও রয়েছে ৩শ’ শতাংশ জমি। যেখানে বরই বাগান করেছেন তিনি। রাজউক ভূমি অধিগ্রহণ করলে এলাকার সাধারণ মানুষ বাপ-দাদার ভিটে-মাটিহারা হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলে রাস্তায় নেমে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
এখন পর্যন্ত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুরুব্বিরা জানিয়ে তিনি বলেন, যতোদিন রাজউক সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে ততোদিন এ আন্দোলন চলবে। দাবি একটাই, এ এলাকায় কোনো আবাসন প্রকল্প করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর