সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি শেষে আন্দোলনের সংগঠক মুরুব্বিরা জানান, ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আরো বড় কর্মসূচি দেবেন তারা।
এর আগে বছিলা ব্রিজের কলাতিয়া পর্যন্ত তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান নেন সর্বস্তরের মানুষ।
অস্তিত্ব রক্ষায় এলাকার নারী, শিশু, প্রবীণ, ছাত্র-শিক্ষক, নেতা, সমাজপতিসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক কাতারে নেমে আসেন। তাদের দাবি একটাই, বাপ-দাদার ভিটে মাটি হারাতে চান না। আর এ জমি রক্ষায় তারা যেকোনো মূল্য দেবেন বলেও স্লোগান দিতে থাকেন।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশ এসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নিলে সরে যায় জনতা। তবে সমাবেশ থেকে পরবর্তী কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। এলাকাবাসী বলেন,পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে আরো বড় কর্মসূচি দেবেন তারা।
রাজউক যে ১৬টি মৌজা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- আহাদীপুর, নিশানবাড়ী, বাড়িলগাঁও, কাশারিয়া, ভাওয়াল, নিমতলী, দেউলি, দেউতা, দক্ষিণ বাহেরচর, উত্তর বাহেরচর, বরইকান্দি, ছাগলাকান্দি, চুনার চর, বাকুরত্তা, বাছুলি ও বিনামালী। মৌজাগুলো কেরানীগঞ্জের তারানগর, কলাতিয়া ও সাভারের বাকুরত্তা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে।
উত্তর বাহেরচরের প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্মদ শওকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১৬টি মৌজায় প্রায় ১০ লাখের বসবাস। এখানে আবাদি জমি ও বসতভিটা রয়েছে। তার নিজেরও রয়েছে ৩শ’ শতাংশ জমি। যেখানে বরই বাগান করেছেন তিনি। রাজউক ভূমি অধিগ্রহণ করলে এলাকার সাধারণ মানুষ বাপ-দাদার ভিটে-মাটিহারা হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলে রাস্তায় নেমে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
এখন পর্যন্ত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুরুব্বিরা জানিয়ে তিনি বলেন, যতোদিন রাজউক সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে ততোদিন এ আন্দোলন চলবে। দাবি একটাই, এ এলাকায় কোনো আবাসন প্রকল্প করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর