সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি’ শীর্ষক আলোচনায় এ বিষয়ে মত দেন অধিকাংশ দেশের সদস্যরা।
অন্যদিকে আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুং গং এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতে আইপিইউ-এর একটি কৌশল নির্ধারণের জন্য আলোচনা চলছে।
![ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সম্মেলনে ডেলিগেটরা/ছবি: দীপু মালাকার](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Young-parliamentarian-120170403171528.jpg)
স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির আলোচনায় বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের প্রধান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ কার্যক্রমে কোনো দেশই যেন আর্থিক বা জনবল কোনো কিছুতেই সহায়তা না পায় সেগুলো বন্ধ করার বিষয়ে নিজ নিজ দেশের সংসদের কী ভূমিকা হতে পারে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুং গং সংবাদ সম্মেলনে জানান, সহিংস সন্ত্রাসবাদ জন্ম নেয় হতাশা, সামাজিক অসমতা, অবিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সুযোগের অভাব থেকে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলার কৌশলে আমরা এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করবো।
তিনি আরও বলেন, যেই কৌশলটা প্রস্তাব করা হবে, সেখানে অনেকগুলো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে, যা সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির কারণগুলোকে রুখতে গ্লোবাল পার্লামেন্টারি কমিউনিটিকে সাহায্য করবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য দূর করতে এবং মানবিক মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পার্লামেন্ট কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে, খসড়া প্রস্তাবে সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ