নীল রংয়ের গাড়িটি একজন নারী ব্যবসায়ী ব্যবহার করতেন।
সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা গত ৩০ মার্চ বিকেল ৫টায় অভিযান চালান।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান জানান, ব্যবহারকারী গাড়িটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন ও চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে ওইদিন রাত ১০টায় গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরে বিআরটিএ-তে যোগাযোগ ও তথ্য যাচাইয়ে শুল্ক ফাঁকির প্রাথমিক আলামত পাওয়ায় সোমবার (০৩ এপ্রিল) গাড়িটি শুল্ক আইন অনুসারে জব্দ দেখানো হয়েছে।
ভুয়া দলিল দিয়ে গাড়িটি ঢাকা-গ ২১-০৮৭৫ হিসেবে ২০/০৯/২০০৭ সালে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়েছিল। BMW Brand এর গাড়িটির চেসিস নং WBADT 33492GF42555, Engine no: 611435922555, 2000 cc, Color: Blue. এটি রূপরেখা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়৷
গাড়িটি হাউজ # ১৪, রোড ৪৮, গুলশান-২, ঢাকা এ ঠিকানায় নিবন্ধন করা হলেও এটি রুখসানা আমির এর বাসা, রোড# ১৩৭, বাড়ি # ০৭, গুলশান # ২, ঢাকা থেকে আটক করা হয় ৷
বিআরটিএ থেকে তথ্য যাচাই করলে তারা ৩ এপ্রিলের স্মারকের মাধ্যমে জানান, ঢাকা মেট্রো- গ-২১-০৮৭৫ নম্বরযুক্ত কোনো মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন বিআরটিএ কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়নি।
শুল্ক গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, গাড়িটি কারনেট-ডি-প্যাসেজ সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশে আসে। পরে একটি জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে রূখসানা আমীর এটির মালিক হন।
একই চক্রের মাধ্যমে আরো গাড়ি ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করে চলছে যা খুঁজে বেড়াচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি গোয়েন্দা নজরদারিতে আটক হয়েছে।
এখন শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত শেষে মামলা ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭/আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা
জেডএস