সরেজমিনে দেখা গেছে, টেম্পু আর আগের টেম্পু নেই। এখন এটি চলে প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) দিয়ে।
এদিকে টেম্পু তার আগের রুপটি হারিয়েছে বলা চলে। বিশেষ করে রাজধানীর কিছু এলাকায়। সেখানে এটি চলছে কোনো রকম ছাদ (যাত্রীর মাথার ওপরের অংশ) বা সেফটি গার্ড ছাড়াই। অর্থাৎ ওপরটা একদমই খোলা। এতে চড়লে রোদে পোড়া বা বৃষ্টিতে ভেজা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তারওপর রয়েছে জীবনহানির বড় ঝুঁকি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় নিত্যদিন চলাচল করছে এই ছাদ খোলা টেম্পু। কট কট্ শব্দ তোলে। মূলত এটি চলছে বছিরাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এদিকে গাবতলী, ওদিকে বাবুবাজার পর্যন্ত।
কিছুদুর একটি টেম্পুর পেছন ছুটে দেখা গেছে, কত বিপজ্জজনকভাবে ছোটে এই বাহনটি। বেড়িবাঁধ সড়কটি ব্যস্ত নয়, এমন বললেও ভুল হবে। এমন সড়কে ছাদ খোলা একটি বাহন কিভাবে চলে সে প্রশ্ন অনেকের। যাত্রীরাও ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রয়োজনের তাগিদে।
স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম আলী বাংলানিউজকে বলেন, মাথার ওপর কড়া রোদ, যেন মগজ গলে যায়। আবার বৃষ্টি হলে ভিজে জুবুথুবু অবস্থা হয়। এরপর টেম্পু চালকরা যেভাবে চালায়, তাতে মনে হয় এই বুঝি অ্যাক্সিডেন্ট হলো।
আরেক টেম্পুযাত্রী করিম মোল্লা বলেন, কি করুম। চলাচল তো করা লাগব। ভাড়া কম, তাই উডি (উঠি)।
আইন অনুযায়ী, অনুমোদিত কাঠামোর বদল করে কিংবা ছাদহীন সুরক্ষাহীনভাবে খোলা অবস্থায় কোনো গাড়ির চলাচল করতে পারে না। পারার কথা নয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে যানবাহন চালানো বেআইনি। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। দ্রুতই আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
প্রায় ঘন্টাখানেক ওই সড়কে অবস্থান করেও কোনো ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
ইইউডি/জেএম