আটকরা হলেন- আবুল কাশেম জীবন (৪৮), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রনি (২৮), মো. মোস্তফা কামাল ওরফে লিঙ্কন ও মো. স্বপন আঁকন (৩২)।
তাদের কাছ থেকে একটি (৭.৬৫ মি.মি.) বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি হ্যান্ডকাফ, ১টি সিগন্যাল লাইট, ছিনতাই করা নগদ চার লাখ ৬৯ হাজার ৫শ’ টাকা, ছিনতাই করা ১১টি মোবাইল সেট এবং ১টি লোহার লাঠি জব্দ করা হয়।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে র্যাব-১০ এর অপারেশন অফিসার এএসপি আকিতুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
তিনি বলেন, রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি টহল দল ডেমরার শেখের জায়গা, মোস্তফা মাঝির মোড় নামক স্থানে একটি চেকপোস্ট পরিচালনা করছিলো। সেখানে সন্দেহজনক একটি প্রাইভেটকার থামানোর পর ভিতরে থাকা চারজন র্যাবের কাছে নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেন।
গাড়ি কেনো থামানো হলো, এ কারণে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে জবাবদিহিতা চান। এ সময় টহল কমান্ডার তাদের কাছে ডিবির আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি। পরে ডিবি পরিচয়দানকারী চারজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন অস্ত্র, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ ও সিগন্যাল লাইট দেখিয়ে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস লুটে জড়িত।
প্রাইভেটকারে করে এই ছিনতাই কাজ করতো বলেও স্বীকার করেন তারা।
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আটকদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলাও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় দু’টি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি আকিতুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসজেএ/জিপি/এএ