সোমবার (৩ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এই কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, আমরা মনে করি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই শেষ কথা নয়। প্রবৃদ্ধির সুফল পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দিতে না পারলে কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর যত মানুষ এক দশমিক ৫ ইউএস ডলারের নীচে আয় করে, তার একটি বড় অংশ নারী। কাজেই নারীর দারিদ্র বিমোচনে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বিশ্ব গড়তে হলে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রয়োজন। আইপিইউ সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো জানান, এই সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের এক সদস্য বলেছেন- ইয়াহু, অ্যাপেল যেন তাদের ট্যাক্স যথাযথভাবে ব্যয় করে তার উপর মত দিয়েছেন।
জার্মান বুনডেসটাগ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া-রুথ তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের আইপিইউভুক্ত দেশগুলো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দারিদ্রসহ যেসব সমস্যা ও সংকট মোকাবেলা করছে, আশা করি এই সম্মেলনে সবাই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি সমাধানে আসতে পারবে।
সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাবব্বী মিয়া বলেন, আমরা আলোচনায় চেষ্টা করছি ২৫ মার্চের গণহত্যার বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে। যদিও কোন আলোচ্য সূচিতে এটি আনা সম্ভব নয়। তারপরেও চেষ্টা করছি বিভিন্ন সেশনে আমাদের অবস্থানগুলো তুলে ধরতে। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা ধীর গতির কারণ। আমরা আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। সেখানে বলেছি ২১ আগস্ট হামলার সময় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। আর ক্ষমতায় ছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তারা তখন এই মামলা নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়। এটি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে আমরা জানিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
এসএম/জেডএম