এরই অংশ হিসেবে সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে গুলশান-২ নং গোলচত্বর এলাকায় চার গাড়ি চালককে হাতেনাতে ধরেছেন মেয়র আনিসুল হক।
এসময় চালকদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মেয়র চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সুপ্রশস্ত ফুটপাত নির্মাণ করেছি জনসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্য। সেখানে কেউ গাড়ি রাখলে এখন সম্মান করে শুধু আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।
সতর্ক করে দিয়ে মেয়র আরো বলেন, এ আইনে জেলদণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে। আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে রাস্তার পাশের ভবন এবং দেয়ালগুলো রং করাচ্ছি। কাজেই এসব ভবন বা দেয়ালে লিখে বা পোস্টার লাগিয়ে কেউ যেন নগরীর সৌন্দর্য বিনষ্ট না করেন।
ঘটনাস্থলে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো এবং একইসঙ্গে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর অধীনে ৪টি গাড়ি জব্দ করে প্রত্যেক চালককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
চালকরা হলেন- ফিরোজ (ঢাকা মেট্রো- গ ২১-৮০৯৭), মো. মাসুদ শিকদার (ঢাকা মেট্রো- ন ৫৩-২৭৩৭), মো. দুলাল হাওলাদার (ঢাকা মেট্রো- গ ১২-৪২৪০) এবং নুরুজ্জামান (ঢাকা মেট্রো- চ ৫৩-৩৭৮৮)।
আটক গাড়ির মধ্যে মহাজোটের একজন সংসদ সদস্যের ১টি ব্যক্তিগত গাড়িও রয়েছে। এর আগে গত ৩০ মার্চ তারিখেও একই অপরাধে ৩টি গাড়ি জব্দ এবং চালকদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসএম/জেডএস