তাদের দাবি, নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না নাসির এ কলেজের ছাত্র।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গি নাসির জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয় নাসির।
মূলত নগরীর কালিবাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার বাসায় ওঠার পর থেকেই কলেজের পাট চুকিয়ে ফেলে নাসির।
পুলিশ জানায়, আটক নাসিরের বাড়ি জেলার পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলার টেংরাপাড়ায়। তার বাবার নাম সবুজ মিয়া।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নাসির নিজেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দাবি করে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নাসিরের সঙ্গে আটক জঙ্গিদের বেশিরভাগই বিভিন্ন কলেজের ছাত্র এবং প্রায় সমবয়সী। শুধুমাত্র নাসির ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার খোদ সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও জঙ্গিবাদের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। নাসিরের আটক হওয়া সেই ঘটনারই ইঙ্গিত।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরেও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা করেনি।
তারা তালিকা তৈরি করলে আরো অনেক আগেই নাসিরদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কব্জায় নেওয়া সম্ভব হতো।
অবশ্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. আ. ন. ম. ফজলুল হক পাঠান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ বলছে নাসির ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এটি নিশ্চিত হতে পারছি না।
আমরা পুলিশের কাছে জানতে চাইবো কোন ব্যাচে নাসির ভর্তি হয়েছিল। তার পরিচয়পত্র আছে কি-না। যাচাই-বাছাই ছাড়া বলতে পারবো না এ ছেলেটি এ কলেজের ছাত্র।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা অনেক কিছুই বলতে পারে। বিভ্রান্তিও ছড়াতে পারে। তবে এ ছেলেটি আটক হওয়ার পর মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলছে নেত্রকোণার নাসির অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল। তার বন্ধুরা ৩ থেকে ৪ বছর আগেই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে চিকিৎসক হয়েছে।
যদি নাসির এ কলেজের ছাত্র হয় তবুও তার অপকর্মের দায়িত্ব ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নেবে না বলেও জানিয়ে দেন এ ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল।
সোমবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর কালিবাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার এক বাড়ি থেকে নাসির উদ্দিনসহ (২৭) নব্য জেএমবি’র ৭ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এমএএএম/জেডএস