ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকেই চূড়ান্ত চুক্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকেই চূড়ান্ত চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ঢাকা: সাত বছর পর ফের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহু প্রতীক্ষিত চারদিনের এ সফর শুরু হচ্ছে ৭ এপ্রিল। সফরে আমরা কি পাবো আর কি দেবো তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। তবে সব জবাব মিলবে ৮ এপ্রিল। এদিন হাসিনা-মোদির শীর্ষ বৈঠকে আলোচনার পরই চূড়ান্ত হবে কোন কোন বিষয়ে হচ্ছে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সমঝোতা স্মারক।

সোমবার (৩ এপ্রিল) গুলশানের ভারতীয় হাই কমিশন কমপ্লেক্স ভবনে এক বৈঠকে একথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

দিল্লিতে যেসব সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

৮ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভারতের উচ্চ প্রতিনিধি দল নিয়ে বসবে শীর্ষ বৈঠক। বাংলাদেশের পক্ষে যার নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বৈঠকটিই হবে সফরের সবচেয়ে গুরুত্ববহ। দু’দেশের প্রতিনিধি দলের আলোচনা শেষে চূড়ান্ত হবে কোন কোন বিষয়ে হচ্ছে সমঝোতা।

শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লিতে দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনও করবেন। জানাচ্ছিলেন হাই কমিশনার শ্রিংলা। কোন কোন ইস্যুতে হচ্ছে সম্ভাব্য চুক্তি? এ প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সামরিক চুক্তি।

শ্রিংলা বলেন, সামরিক সহযোগিতা চুক্তি এ সফরেই হবে। এরইমধ্যে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এই খাতে এর মধ্যেই আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করে চলেছি। তিন বাহিনীর রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তা ভারতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বাংলাদেশে। দুই দেশের আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের কর্মকর্তারা যৌথ অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন। এটি একটি দ্বিপাক্ষিক নিয়মিত বিষয়। সেগুলো ঠিক রেখেই একটি সহযোগিতা চুক্তি হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা/ছবি: বাংলানিউজপ্রথমবারের মতো ভারত হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ (এইচএডিআর) কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এয়ার ফোর্সকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়, এইচএডিআর সেই বিষয়টি নিয়ে কাজও নিশ্চিত করবে।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে হর্ষ বর্ধন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ অনেক কমন বিষয় শেয়ার করে। দুই দেশই লাভবান হয় এরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে- হাইটেকনোলজি, স্পেস, আইটি, ইলেক্ট্রনিক্স, সিকিউরিটি ও সিভিল নিউক্লিয়ার এনার্জি।

সব চুক্তিই হবে আলোচনার ভিত্তিতে। আলোচনায় যেগুলো এগোবে সেগুলো নিয়েই হবে চূড়ান্ত চুক্তি।

জ্বালানি খাত বিশেষ গুরুত্ব পাবে আলোচনায়। ভারত সোলার এনার্জিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হতে পারে এ সফরে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের মাধ্যমে যৌথ সহযোগিতা অন্যরকম এক উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এবং এতে দু’দেশ উপকৃত হবে বলেই আশা।

প্রযুক্তি এবং দেশের যুবসম্প্রদায়কে অর্থনৈতিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতায় কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা আলোচনায় স্থান পাবে।

আসন্ন সফরে শেখ হাসিনা বেশকিছু ব্যবসায়িক আলোচনা ও অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেও জানান হাই কমিশনার।

সফরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ, ৮ এপ্রিল দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে শীর্ষ বৈঠক করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ওই দিনই এক অনুষ্ঠানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেবেন শেখ হাসিনা।

আলমগীর হোসেন  আলমগীর হোসেন
  এডিটর ইন চিফ
  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।