ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মানবাধিকার ইস্যুতে সরব আইপিইউ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
মানবাধিকার ইস্যুতে সরব আইপিইউ আইপিইউ’র তৃতীয় দিনে বক্তারা, ছবি: দীপু মালাকার

বিআইসিসি থেকে: বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন দেশের আইন প্রণেতারা। চলমান ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) তৃতীয় দিনে এ নিয়ে বির্তক চলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে। তবে বাংলাদেশ দুটি ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তৎপর। এর একটি হচ্ছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা এবং দ্বিতীয়টি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে সাধারণ আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হয়।

আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই অধিবেশনে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাধারণ আলোচনার পাশাপাশি তিনটি সেশনে এসব উঠে এসেছে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অগ্রসরে কাজ করবে আইপিইউ

অন্যদিকে শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে দুদিনের আলোচনায় ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। এছাড়া জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। একই সময়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং শান্তি ও বিশ্ব নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা চলেছে। এরপর আলোচনা হয়েছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলার কৌশল নিয়ে। তবে কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার (০৫ এপ্রিল) শেষ দিনে এসব বিষয়ে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা হবে।

দিনব্যাপী বিতর্কে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে দেশে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি উঠে এসেছে। আলোচনায় গণহত্যার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।
ছবি: সম্মেলনে বিদেশি অতিথিরা, ছবি: দীপুআলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করেছে। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় বিগত নির্বাচনটি (০৫ জানুয়ারি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি আজম আলহমদ। তিনি বলেন, গাঁজার প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে গণহত্যা চললেও এটি নিয়ে জাতিসংঘের নিরপেক্ষ ভূমিকার অভাব রয়েছে। আইপিইউ ফোরামও কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক অনেক আইন থাকলেও উন্নয়নশীল দেশ তা মেনে চলছে না। মানবাধিকার নিয়ে নানা চুক্তি ও সমঝোতা হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এছাড়া দুর্বল গণতন্ত্রের কারণে মানুষ অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে।

কেনিয়ার প্রতিনিধি ইয়োকে ইথোরো গণতান্ত্রিক রাষ্টের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বলেন, কেনিয়াতে শক্তিশালী গণমাধ্যম রয়েছে। যে কারণে কোনো কিছুই লুকিয়ে থাকতে পারে না। দেশের অসামঞ্জস্যগুলো জনগণের সামনে তুলে আনে গণমাধ্যম। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

শ্রীলংকার সংসদ সদস্য কাদের মাস্তান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য শিক্ষার বিকাশ ও স্বচ্ছলতা জরুরি। শ্রীলংকা সেই কাজটি করছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে শ্রীলংকা ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সব ধর্ম ও জাতি-গোষ্ঠীর মানুষকে নিয়ে এই উন্নয়ন কাজ চলছে। আইপিইউ সদস্য দেশগুলোর জন্য এ বিষয়ে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।