সোমবার (০৩ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএসি) চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ এসব কথা বলেন।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান বলেন, হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফাঁদ পেতে অবৈধভাবে মাছ শিকার।
তিনি বলেন, আমরা যেভাবে হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করি সেভাবে মাছের পোনা ছাড়ি না। এছাড়া অবৈধভাবে ফাঁদ পেতে হ্রদ থেকে মাছ শিকার করা হয়। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রিকে মাছ চাষ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মৎস্য সম্পদের এ খাতটি ধ্বংস হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ফাঁদ ধ্বংস এবং ক্রিক অপসারণ করা। এজন্য জেলা প্রশাসন, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, নৌ-পুলিশ এবং বিএফডিসি এ চারটি প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করলে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং হ্রদের পরিবেশ ঠিক রাখা আমাদের জন্য সহজ হবে।
দিলদার আহমদ বলেন, কাপ্তাই হ্রদের দূরত্ব সিঙ্গাপুরের চেয়ে বড়। আর এ হ্রদের রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন। যারা কাপ্তাই হ্রদ দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছে এবং হ্রদের মধ্যে ঝুলন্ত টয়লেট নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নের জন্য আমার নেতৃত্বে ঢাকায় আগামী সপ্তাহে একটি কমিটি গঠণ করা হবে। এজন্য মন্ত্রী পরিষদের সচিব জিয়া উদ্দীনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া নৌ-পুলিশের ডিআইজি’র সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এনটি