মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দাবি জানানোর ফলেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্নান করতে আসা পূণ্যার্থীদের জন্য অস্থায়ী সেবাকেন্দ্রও খোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দু’দিনব্যাপী স্নানোৎসবের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তার বিষয়টি চোখে পড়ে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে স্নানঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার আগে থেকেই সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, ‘স্নানোৎসব সুষ্ঠু করতে এবছর লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। এখানে ১৩০০ পুলিশ, ৩০০ আনসার ও ২০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যও নিয়োজিত আছেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিথি অনুযায়ী সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিট ৭ সেকেন্ডে মহাঅষ্টমী স্নানোৎসবের লগ্ন শুরু হয়ে শেষ হবে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৩২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
জেডএস