এ অবৈধ জাঁক দিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছে। এ ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরার কারণে হ্রদ হতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়টি নিয়ে সরগরম আলোচনা চলে আসছে। সভায় সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাপ্তাই হ্রদ থেকে জাঁক অপসারণের পক্ষে মত দিয়ে আসছেন।
মাছ ধরার ফাঁদ (জাঁক) অপসারণের বিষয়ে জেলা বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার নৌ-বাহিনী) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, একটি চক্র মাছ ধরার অবৈধ ফাঁদ (জাঁক) দিয়ে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করে আসছে। অতীতে তাদের বিরুদ্ধে কোন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলেও আমরা সরকারের নির্দেশে এ হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, জাঁক দিয়ে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে এ হ্রদ একদিন মৎস্য শূন্য হয়ে পড়বে। সরকার হারাবে রাজস্ব এবং স্থানীয়রা তাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে পারবে না। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হ্রদে মাছের বংশ বৃদ্ধি, সরকারের রাজস্ব বাড়ানো ও স্থানীয় মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে আমরা এসব জাঁকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
কমান্ডার বলেন, হ্রদের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে এসব অবৈধ জাঁকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সোস্যাল মিডিয়া সংলাপে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে যারা জাঁক দিয়ে মাছ ধরছে তারা অপরাধী। আমরা জাঁক মুক্ত কাপ্তাই হ্রদ চাই। আর এ কাজ সফল করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা কিছু দরকার করা হবে।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের অস্তিত্ব ধরে রাখতে হলে অবশ্যই জাঁক অপসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা সময় কাপ্তাই হ্রদে মাছের অভয়ারণ্যের যে ঐতিহ্য ছিল তা বর্তমানে হারাতে বসেছে। এ হ্রদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও বর্তমানে এসব অবৈধ মাছ শিকারীর কারণে আমাদের জেলার গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ খাতটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই এ হ্রদ বাঁচাতে এখনি আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
জেডএম/