চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এই দুর্গা সাগরে গোসল করে পাপ থেকে মুক্তি লাভের আশায় প্রতি বছরই বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীরা আসেন।
তারা গঙ্গাদেবীর চরণে আত্মসমর্পণ করে পূজা, অর্চনা ও প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পাপ মুক্তির বাসনায় স্নান করেন।
এ উৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
পাশাপাশি সাগর পাড়ের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ মেলা। যেখানে মুড়ি-মুড়কি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও ভিড় করেছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।
১৭৮০ সালে চন্দ্রদীপ পরগণার তৎকালীন রাজা শীবনারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে স্ত্রী দুর্গারানীর নামানুসারে দুর্গাসাগর দীঘি খনন করেন। যা পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হয়।
৪৫.৫৫ একর জমির মধ্যে দ্বীপসহ জলভাগের পরিমান ২৭.৩৮ একর এবং স্থলভাগের পরিমান ১৮.০৪ একর। দীঘির চারপাশে ও মাঝের দ্বীপটিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, ওষুধি ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। এছাড়া দীঘির চারপাশ দিয়ে ১.৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে রয়েছে।
তিনঘাট ও মধ্যখানে দ্বীপবিশিষ্ট এ দীঘি সর্বশেষ সংস্কার করা হয় ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
এমএস/জেডএম