দ্রুত যেতে হবে কর্মস্থলে বা স্কুলে, কোথাও দাঁড়ানোর সময় নেই কারো। ছুটে চলেছে সবাই নিজের গতিতে।
আর এতেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ‘বাস-বে’ থাকার পরও পরিবহনগুলো অনেকটা অগোছালোভাবেই দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। ট্রাফিক আইনের কোনো তোয়াক্কাই করছে না এসব গণপরিবহনের চালক।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) সকালে বিমানবন্দর গোল চত্বরে এমন দৃশ্যই দেখা গেলো।
ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছে শতশত পথচারী। ব্যস্ততম এই সড়কে যানবাহনের চলন্ত সারির মধ্য দিয়েও অনেক পথচারী রাস্তা পারাপার হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিকের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা পথচারীদের থামিয়ে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে বললেও অনেক পথচারী তা আমলেই নিচ্ছে না।
বিমানবন্দর চত্বর থেকে বের হয়ে ওই পরিবহনগুলো আসছে খিলক্ষেতে। সেখানেই ঠিক একই অবস্থা সৃষ্টি করছেন এসব গণপরিবন চালকরা। খিলক্ষেত বাস স্টপিজের ‘বাস-বে’তে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকছে বাসগুলো। এ কারণে অন্য পরিবহন ওই ‘বাস-বে’তে ঢুকতে না পেরে অতিক্রম করে সামনে চলে এসে রাস্তার বেশ কিছু জায়গা দখল করে পুরো বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। এর জন্য ‘বাস-বে’ থেকে অন্য পরিবহন বের হতে পারছে না। শুধু তাই নয়, বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির জন্য পুরো সড়কেই যানবাহনগুলো আটকে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত সড়কটি যানজট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিকের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে। দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোকে দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য তাড়া করছেন তারা।
কিন্তু সামনে ট্রাফিক পুলিশ দেখে বাসগুলো গতি কমিয়ে কাউন্টারের সমানে থেকে চলন্ত অবস্থাতেই যাত্রীদের উঠা-নামা করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরাও দৌড়ে গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন।
বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন শফিকুল নামে এক বাস যাত্রী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অফিসে যেতে লেট করা যাবে না, তাই দ্রুত যেতে হচ্ছে। আর সকালের দিকে উত্তরা থেকেই বাসগুলো যাত্রীবোঝাই হয়ে আসে, সিট তো দূরের কথা, দাঁড়ানো জায়গাটুকুও পাওয়া যায় না। তাই দৌড়ে গাড়িতে উঠার চেষ্টা করছি। এই বাসটিতে উঠতে পারিনি, পরের বাসে যে করেই হোক উঠতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এসজেএ/জিপি/জেডএম