মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাফরোল হাসান সাত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে শামীম (৩৫), সোরমান আলীর ছেলে রব্বানী (৩২), রহিজ প্রামাণিকের ছেলে মিন্টু প্রামাণিক (৩৩), মিরের দেউল গ্রামের হজরত আলীর ছেলে কালাম (৩২), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার হোসনেবাদ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে দুই ছেলে দুদু প্রামাণিক (৩০) ও জিয়াউর রহমান (২৮), একই এলাকার বিশা
শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ শেখ (৩২) এবং শেফাত আলী প্রামাণিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫)।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় তিনি আরো জানান, ওই আটজন ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর রাতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে গ্রাম পাঙ্গাসী এলাকার মোহাম্মদ আলী মাহামের বাড়ি থেকে তার মেয়ের জামাই ইব্রাহিম খলিলকে টেনে হিঁচড়ে
বাইরে নিয়ে যান। রাতেই তারা তাকে হত্যা করে মরদেহ গ্রাম পাঙ্গাসী বাজারের আজাদ মজলিস ক্লাব এলাকায় ফেলে রেখে যান। পরদিন সকালে ইব্রাহিম খলিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইব্রাহিম খলিল বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় তার শ্বশুর মোহাম্মদ আলী মাহাম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই আটজনকে এ সাজার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এসআই