মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ওইসব এলাকার চাষি ও ক্ষুদ্র কৃষকরা শেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর বোরো আবাদ নষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণ ও উপজেলা কৃষি অফিসারের শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে উপজেলা ধুধুয়ার খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাড় ভেঙে দক্ষিণ রানীগাঁও, কালীনগর, গোল্লারপাড় ও কাউয়াকুড়ি এলাকার প্রায় ৩শ’ একর উঠতি বোরো ধান ৪-৫ দিন ধরে পানির নিচে রয়েছে।
অভিযোগকারী কৃষকদের মধ্যে প্রবন আলী বাংলানিউজকে বলেন, উত্তর কাপাসিয়া ও পূর্ব কাপাসিয়া এলাকায় ধুধুয়ার খালের ওপর নির্মিত স্লুইজ গেটের কপাট বন্ধ রাখায় আমাদের এলাকার প্রায় ৩শ’ একর বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিসারকে গেট খুলে দেওয়ার কথা বললেও তিনি তা করেননি। এজন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর ক্ষতিপূরণ ও উপজেলা কৃষি অফিসারের দায়িত্বহীনতার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, সেচ কমিটির সদস্য হওয়ায় আমি সবসময় কৃষকদের মঙ্গলে কাজ করি। এ ব্যাপারে আমার কোনো গাফিলতি নাই তারপরেও কৃষকরা যদি আমার সম্পর্কে অভিযোগ করে তাহলে আমার কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এনটি/আরএ